ফ্যাসিবাদ পুলিশ নিপাত যাক, ন্যায় বিচার মুক্তি পাক
বাংলাদেশসহ বহু দেশে যখন জনগণের নিরাপত্তা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান—পুলিশ—ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন মানুষ আর রাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাস ভেঙে পড়ে। পুলিশের কাজ হওয়া উচিত ছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু যখন তারা হয় ক্ষমতাসীনদের অনুগত বাহিনী, তখন "ফ্যাসিবাদ পুলিশ নিপাত যাক"—এই শ্লোগান হয়ে ওঠে সময়ের দাবি।
পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা ও তার বিচ্যুতি
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশের দায়িত্ব:
-
আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করা
-
সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা রক্ষা
-
অপরাধ দমন ও অপরাধীর বিচারের মুখোমুখি করা
-
মানবাধিকার রক্ষা করা
কিন্তু ফ্যাসিবাদী বা কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে পুলিশের ভূমিকা হয়ে যায়:
-
ভিন্নমত দমন
-
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে গুলি চালানো
-
সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী বা রাজনীতিকদের হয়রানি
-
সাজানো মামলা দিয়ে নিরপরাধদের জেলে পুরে রাখা
ন্যায়বিচার ও মুক্তির দাবি কেন জরুরি
যখন বিচারব্যবস্থা হয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন, তখন জনগণের একমাত্র ভরসা হয় সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা। যে দেশে বিচার পাওয়া যায় না, সেখানে মানুষ আত্মরক্ষার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়।
"ন্যায় বিচার মুক্তি পাক"—এই দাবিটি কেবল ব্যক্তিগত রাগ নয়, এটি সামাজিক মুক্তির প্রেরণা। এই শ্লোগান একটি গণজাগরণ, একটি জনতার চেতনার প্রতীক।
রাষ্ট্রীয় দমন ও তার ভয়াবহ পরিণতি
-
গুম, খুন, ক্রসফায়ারের মতো শব্দ এখন বাংলাদেশে সাধারণ
-
বিচার না পাওয়া ব্যক্তিদের আত্মহত্যা কিংবা মানসিক বিপর্যয়
-
তরুণ সমাজের ভীতি ও হতাশা
-
জনগণের মধ্যে অনাস্থা, যা রাষ্ট্রকে দুর্বল করে তোলে
প্রতিরোধ কীভাবে সম্ভব?
-
সোচ্চার হওয়া – সামাজিক মাধ্যমে, রাস্তায়, সংগঠনের মাধ্যমে
-
দল-মত নির্বিশেষে ঐক্য গড়ে তোলা
-
আইন ও সংবিধান সম্পর্কে সচেতন হওয়া
-
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখা
-
তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও নথিভুক্ত করা
শেষ কথা
"ফ্যাসিবাদ পুলিশ নিপাত যাক, ন্যায় বিচার মুক্তি পাক"—এটি শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞা। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে, আমাদের কণ্ঠই হয়ে উঠবে প্রতিরোধের হাতিয়ার।
Comments
Post a Comment